শিক্ষকের কাছে শিক্ষামনোবিদ্যার উপযোগিতা শিক্ষামনোবিদ্যার
সামগ্রিক উদ্দেশ্য শিক্ষাপ্রক্রিয়ার উন্নতি ঘটানো। সমাজে যেসব ব্যক্তি শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত থাকেন, তাঁদের মধ্যে শিক্ষকই তাঁর পেশাগত কারণে শিক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত। আর তাঁর কাছে শিক্ষামনোবিদ্যা কতটুকু প্রয়োজনীয়, আমরা সেই বিচারে অগ্রসর হব। শিক্ষকের পেশা যদি শিক্ষকতা হয়, তবে সেই কাজে সফল হতে তাঁকে কতকগুলি শর্ত পূরণ করতে হবে। যেকোনো পেশাগত কাজের সফলতা কাজের প্রকৃতি অনুযায়ী কিছু শর্তসাপেক্ষ। শিক্ষককেও কতকগুলি শর্ত পূরণ করতে হবে। শর্তগুলি হলো- তাঁর যথেষ্ট পেশাগত জ্ঞান থাকতে হবে।
এই পেশাগত জ্ঞান তাঁকে কর্মপরিস্থিতির বিভিন্ন দিক ও তাঁর দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন করবে। তাঁকে তাঁর পেশাগত দায়িত্ব দক্ষতার সঙ্গে সম্পন্ন করার কৌশল আয়ত্ত করতে হবে। একে বলা হয় কর্মকুশলতা বা পেশাগত দক্ষতা। কর্মদক্ষতা ছাড়া কোনো কাজেই সফল কর্মী হওয়া যায় না। তৃতীয় যে শর্ত শিক্ষককে পূরণ করতে হবে তা হলো তাঁর বিবেচনা, বিচারবুদ্ধিকে যথাযথভাবে পেশাগত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে প্রয়োগের মানসিকতা অর্জন করা। এধরনের মানসিকতা ব্যতীত তাঁর পক্ষে উপযুক্ত সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা অসম্ভব। একে বলা যেতে পারে পেশাগত মনোভাব। উপযুক্ত পেশাগত জ্ঞান, পেশাগত দক্ষতা এবং পেশাগত মনোভাব শিক্ষককে তাঁর পেশাতে সফলতা এনে দিতে পারে।
মন্তব্য: সুতরাং এই আলোচনায় এটা প্রমাণিত, শিক্ষামনোবিদ্যার সঙ্গে শিক্ষকের পেশাগত প্রত্যাশিত বৈশিষ্ট্যগুলির নিবিড় যোগ রয়েছে। শিক্ষামনোবিদ্যার পাঠ শিক্ষকের পেশাগত জ্ঞান, দক্ষতা ও মনোভাব বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এই কারণে প্রত্যেক শিক্ষকের শিক্ষামনোবিদ্যা পাঠ একান্তভাবে প্রয়োজন।